সংবাদচর্চা ডেস্ক : আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন – নির্বাচনে ‘ডেঞ্জার জোন’ আওয়ামী লীগের জন্য সৃষ্টি হয়নি। কোনো সাংসদই ‘রেড জোনে’ নেই। কেউই খারাপ অবস্থায় নেই। তিনি বলেন, ‘আমি পত্রিকা পড়ে দেশ চালাই না। মানুষের কথা ভেবে দেশ চালাই। মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে ভোট দেব। আমিই স্লোগান করেছি, আমার ভোট আমি দেবে যাকে খুশি তাকে দেব। মানুষ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসব।’ তিনি বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপন করা হবে।
আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে নির্বাচন করতে চাইবে, এটাই তো স্বাভাবিক। গণতন্ত্রে শত ফুল ফুটতে দিতে হবে। এর মধ্যে যে ফুলটি ভালো, যেটি সুন্দর, সেটাই তুলে আনা হবে। নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে এটা ভালো কথা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কীভাবে মনোনয়ন দেবে, সেটা সময় বলে দেবে। কী যোগ্যতা দেখবে, সেটা সবার সামনে বলার বিষয় নয়। প্রার্থী হতে চাওয়া সবার অধিকার।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে। এবার আর তারা ভুল করবে না। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই। আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এমন কোনো দৈন্যদশা সরকারের হয়নি যে আগাম নির্বাচন দিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
এটিএন বাংলার সাংবাদিক জ ই মামুনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক একটি দেশে যে দলগুলো গণতন্ত্র চর্চা করে, সেসব দলের নির্বাচনে আসা কর্তব্য। তবে কে নির্বাচনে আসবে আর কে নির্বাচনে আসবে না, সে ব্যাপারে সরকারের কিছু করণীয় নেই। বিএনপিকে নির্বাচনে আনা নিয়ে সরকারের করণীয় বিষয়ে বারবার প্রশ্ন না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনা নিয়ে যদি আপনাদের এতই আগ্রহ থাকে, তাহলে তেলের টিন, ঘিয়ের টিন নিয়ে সেখানে যান। আমি অপাত্রে ঘি ঢালি না।’
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রশ্ন করেন, আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বরণডালা পাঠাতে হবে? একবার তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঝাড়ি খেয়েছি, অপমানিত হয়েছি, আর ঝাড়ি খাওয়ার-অপমানিত হওয়ার ইচ্ছে নেই। যাদের মধ্যে ভদ্রতাজ্ঞান নেই, তাদের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছে নেই।’ তিনি সাংবাদিকের উদ্দেশ করে বলেন, ‘এ ধরনের ছোটলোকিপনা যারা করে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেন কোন মুখে। আমার ওপর আপনারা এত জুলুম করেন কেন? কোন দল নির্বাচন করবে, কোন দল নির্বাচন করবে না, তা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কী করার আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে মেজর জেনারেল বানিয়েছেন আমার বাবা। বউ নিয়ে তিনি আসতেন। আমাদের বাসার নিচে মোড়া পেতে বসে থাকতেন। তাঁকে আপনারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক বলেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, এটাই বহুদলীয় রাজনীতি?’ তিনি খালেদা জিয়ার সরকার প্রসঙ্গে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অনেককে হত্যা করেছে। তারপরও দেশের স্বার্থে তাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে না এসে আগুন-সন্ত্রাস করলে জনগণই জবাব দেবে। জনগণই ব্যবস্থা নেবে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে। এবার আর তারা ভুল করবে না। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই। আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এমন কোনো দৈন্যদশা সরকারের হয়নি যে আগাম নির্বাচন দিতে হবে।